Translate

Sunday, October 16, 2016

রাতামৃতা

সিরাপের কাঁচ বোতলের খুপিবাতি জ্বলন্ত,
ছনের বেড়াওয়ালা টিনচাল ঘরে -
সন্ধ্যাবিদায়ী নব্য রাতে ,
এক পা খুঁড়া টেবিল ।
আয়োজনে সীমপুঁটির ছালুন।
আরো কিছু লাগে?
লাগলে বলুন!

Monday, September 12, 2016

বন্ধুয়ালাপ

মাধ্যমিকের সময়ে একধারার দিক্ষা ,
সময় এসে পঞ্চপ্রহর কাটিয়ে গেলো-
হাটলাম
হাটলে তুমিও।
এখন নাবালক সময় দ্বান্দিকতাকে ডেকে -
দাড় করিয়ে দিলো ,
দ্বান্দিকতা দূরত্বকে নিয়ে আসলো।
এক কেটলির পানীয়ই গিলছি,
গিলে যাচ্ছি।
গিলা হচ্ছে কই?
বল্লে ,
সব কিছুই বেদাতি দেখছো।
আমার চোখে পরছে না!
অনেক কিছুই সমস্যা সৃষ্টি করছে তোমায় -
তোমার জীবনাচরণে ।
খিল নেড়ে দেখলাম জীবন কি তাই বুঝি না!
বেড়ে যাচ্ছে রাজনৈতিক দূরত্ব ।
সময়কে ডাক দেবার সময় হয়ে এসেছে,
আরো পঞ্চপ্রহর শেষে ,
আবার কথা হবে - হে হিতাকাঙ্খী!

অবৈধ গপ্পো

কাব্য জননীর অপমৃত্যু ,
জনককে উদ্বাস্তু করে -
মোসাহেবির জন্ম দেয়।
রাসরা হয় পকেটস্থ রাও,
শব্দ হয় বদ্ধ।
উষ্টাখায় সদ্যজাত  সম্বদ্ধ  -
তেলচুরা বিরক্ত করতে অনুমতি চায়,
কিস্তি ফুরায়।

Thursday, July 21, 2016

ফুঁ দিন

ঘুমভাঙে দশ টা তেত্তেত্রিশে,
ফুঁকতে ফুঁকতে যাত্রা বসাই
প্রাতিষ্ঠানিক মিলনায়তনের দিক্ -
পরে ফুঁকি,
সম্মোধন।
ফুঁকতে হয় সম্পর্ককে।
আবার কিছুবাদে,
ফুঁকি গণতন্ত্র,
ডাকপারে রাসপুতিন পিছে -
তারেও ফুঁকতে দেই!
এবার আসে যদুমধু,
বাদ দেই না,  দেই তাদেরও।
এর মধ্যে খিদা লেগে যায়,
একটু কম দামে ডিম-ভাত ফুঁকে নেই।
বের হই,
ফুঁকা শেষ হয় না -
ফুঁকি উত্তর দিকের বটগাছ,
ফুঁকতে ফুঁকতে
অপ্রস্তুত হয়ে পরি।
চড়ুইয়ের বিষ্ঠায় হাত মেখে যায়,
সাফকরে, উঠে পরি।
উঠতে উঠতে -
কিছুক্ষণ হাইকের হাসি ফুঁকি তখন,
না এখন যেতে হবে -
যেতে যেতে দেখি,
রাস্তার বালুধুলা এ সময়ের মধ্যেই কাঁদা হয়ে উঠেছে -
তাদেরও ফুঁকে ফেলি ভুলে!
মাঝেমধ্যে একদুজন যোগ দেয় এই যগ্যে।
আলোচনায় আসে ইতিহাস,
সে আর বাদ যাবে কেন? ফুঁকি!
কাশ্মির থেকে ইস্তাম্বুল ফুঁকাফুঁকি চলে।
আলু পটল আসে এর মধ্যে, আবার চলেও যায় উচ্চমার্গীয় রেস্টুরেন্টের দিকে।
শেষে,
আমি আর মধ্যাকর্ষ একসাথে চলে আসি,
আকাশ-পাতাল ফুঁকতে ফুঁকতে!

Saturday, June 25, 2016

রুপান্তরী

এই,
একটু রবী হবে?
একটু নজরুল?
হবে সেক্সপিয়ার?
হবে একটু রহিম,করিম?
ইস্কুলে যাইতাম,
কপচাইতাম?

শোনো,
না হয় হলে পাবলো?
হও নেওদা!
হিকমত?
নকশাল আন্দোলন?
হতাম নকশালী!

Thursday, June 16, 2016

রংঙ্গিল খোমা

পুঁজিবাদী নির্মোক দেখতে সুন্দর,
বস্তুবাদীরটা তামাটে -
সামন্তেরটা ঘোলাটে,
শোষিতেরটা লালচে -
বর্ণবাদীর শুভ্র!
আরশোলা তেলতেলে।
আমার সারাবছর -
মভেম্বর!

Thursday, May 19, 2016

কান ধরো মনন

মন মনন মানে ,
মেনে যায়, মেনে নেয়।
চুন থেকে পান খসলো-
বাম বাহু ,ডান বাহুকে
পরাস্ত করে।
পরে -
মেনে নেয় ,মেনে যায়।
মন মনন মানতে বাধ্য হয়!

Monday, April 18, 2016

নেড়িনেকড়ের ঘুম

চলেন চালাই চাবুক,
চিবুক চিরে চৌচির হোক -
হবার ছিলো,হোক!
চৈত্রের চৌচালার তাপ,
চিত্তের চাঞ্চল্য চুকিয়েছে প্রতাপ।

চাঙারিতে কি পাইছেন?
চেতনার চরকি?
চলেন চলেন,
চাবুক চালাই!

Friday, April 8, 2016

বারোটা চার মিনিট

হাছনাহেনার বাওবাসে জালবন্দী,
হতে হতেও,না হয়ে -

নগরের হরিণ 'ঘুমন্ত কুকুরের পাশ কাটিয়ে হাটি,
বিক্ষিপ্ত ঘটনা।
জুয়ারি আড্ডার সমানুপাতিক কাপের ঝড়,
শলাকার অগ্নিদগ্ধ দেহ-
ঘড়ির আয়ু বাড়ায়,
আমার কমায়!

ময়নাতদন্ত

কর্তব্য বোঝ?
গলিত লাশে ডোমের দৃষ্টিপাত;
পঁচে যাওয়া,
লার্ভার বংশবৃদ্ধি-
প্রকৃতির কর্তব্য।

বছর ঘুরতেই -
বার্ষিকী পালন,
কর্তব্য
কর্তব্যভার,
কর্তব্যসাধন।

জন্ম?
তাও কর্তব্যই ছিলো!

Saturday, April 2, 2016

রাস্তাবন্ধ

স্বৈরাচারী টেবিলে সাম্যবাদী ছালুন,
নকশাল প্রেমিকের জন্মদেয়।
টকেগিয়ে পচনধরায় -
উর্বর মস্তকে!

দামদর

যখন লাঠি লজেন্স কিনার কথা ছিলো,
কিনতাম না!
ব্যাটারির খেলনাপাতি নিয়ে মেতে
থাকার কথা ছিলো,মাততাম না!
তখন,গুলাই হাতে দৌড়াইছি-
আন্টিশ খেলছি।
আর এখন?
মানুষ কিনবো কেনো!
হবে?হলে হও।
বিকিকিনির হিশেব বুঝি না,
হলে হও,হবে?
দোষসব সেই হারামজাদা শালিকের,গ্রামিক
শালুকের।
হইয়ো না,তুমি হবার নও।

Friday, March 18, 2016

কথালাপ

আরে উজবুক,
শেওড়াতলে যাসনে,
পুড়ে যাবি।
আসমানে সংস্কার কাজ চলছে -
পথধরে চলে যাবি সোজা,
উদাস থাকিস না।

প্রবর্তক বিদায়,
গেলাম গা....

Saturday, March 12, 2016

কারসাজির কারবারি

সুতীক্ষ্ণ  সূতিকাগারে আরতদারি -
তেলেঙ্গার চল বেশি
ডাহুকের ডাক ভাল্লাগে,
কিন্তুক চল নাই।
সূত্রকারের,
সুতা-কাগজের কারবারি!
সূঁচ সূতার কারসাজি,
আর কত?
ঘুড়ি ঘুড়িই,
না উড়লেও।
কি ডাহুক কি তেলেঙ্গা
বাও বাতাসরে জিগাও পাড়লে,
ফরমান জারি কর।
নাফরমানি চলতনা!