বাস্তুসংস্থান

লার্ভা জন্মসূত্রে মাছি সন্তান,
আমার গলিত অবস্থা,
আশাজাগানিয়া খাদ্যদ্রব্য।
অনুকূল পরিবেশ তার,
আমার নিথর বক্ষদেশ !

দূষিত বাওবাতাস

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দূষিত বায়ু বাতাসসমেত কুত্তামরা গন্ধ ছড়ালো ,
তুমি বল্লে ,
পারফিউমের বাস ভাল্লাগেনা।
দোষ সুগন্ধির না,
দোষ কুত্তার - অকালে পচেঁ গেছে!

বাও বাতাসে

বাসিজলের বাতাস বাতিক পয়দাইছে,
আবুর মা বাসুন্দে  -
নয়া উষ খাই।

পয়সাবৃষ্টি

ইস্পাত তপ্ত দৃষ্টি ,
স্নানাস্নাত হবে ,
বানে
পয়সাকড়ির বৃষ্টিবানে।

স্নাত হবার খায়েসে,
খায়েসের অক্কা হবে না
হবার নয়।

সিপাইশালায় আবদার

সিপাই তুমি দাড়াও,
আমারেও লগে লইয়া যাও।

এখানে কেউ হারনষ্টদের,
করে না পাখরাও!
খাড়াও খাড়াও,
সিপাই..তুমি খাড়াও।
লগে লইয়া যাও!

পতঙ্গীয় উড়াউড়ি

সানকিতে দুদিনের নষ্টান্নতে বিবিধ পতঙ্গবৃত্তের হুদাই তৎপরতা,
পরোক্ষণে জীবননাশ!
বলি কি জীবনবীমা করিয়ে নিও,
উড়াউড়ি ভাল ঠেকছে না।
যদিতে  কিন্তুভাব বিনাশ!
পুন্জাক্ষী পতঙ্গে দেখছি না তফাৎ,
ঘটতে কতোক্ষণ, অঘটন হঠাৎ!

যাত্রাপথের যাত্রী

বলি কি?
নেমে যান,
ইষ্টিপত্রে লিখা ছিল
এইটাই সে ইস্টিশন।

ক্ষিদার ভালনাম ক্ষুদা

বাসুনের অভাবে রাজনৈতিক ক্ষিদা মহামারি
আকারে আক্রান্ত।
নির্বিকার হয়ে বসে আছে পিড়ি খানা।
খাদক নাই!
বাসুন নাই!
দশ গুট সুপারি বেঁচে কলম কিনে ইছকুলের
আপেক্ষা।
নারে,ক্যাডবেরি তর জন্য না!
কবে বুঝবি?
আইজো বুঝলি না!
না, রাজনৈতিক ক্ষিদা আইজো তর গেল নারে।
একদিন না খাইলে কিচ্ছু অয় না,
যা ঘুমা গা।

দৃশ্যত বেমানান

ওই পথ ধরে হাটতে হাটতে
কালের রেলিঙ ভেঙে ভেঙে
পথিক তারিয়ে ফিরে ব্যস্তসমস্ত সময়।
পথিকের পথিক পরিচয়
মিলিয়ে যায় তার পদধূলির মতোন।
হুটহাট তাড়াহুড়া,
দেখলে না,
আমি দাড়িয়ে কাঙাল পথশ্রান্ত পথশিশু!
দেখবে কি?
আমিতো তোমার কাতারের না।
মিল করেছি।
তোমার আমার মিল,
আমি তুমি রাস্তায়,
নিয়ে উদর ক্ষুধা।